Sunday, August 5, 2012

জিহাদে কি প্রত্যাশা করা হয়


জিহাদে কি প্রত্যাশা করা হয়?এর চতুর্থ সিরিজে আমরা আলোচনা করবো কিছু বাস্তবিক বিষয়কে নিয়ে যা বর্তমান সময়ে আপনাকে প্রায়ই সম্মুখীন হতে হবে। আমরা আলোচনা করবো, কিভাবে একটি প্রশি
ক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা করতে হয় এবং প্রশিক্ষণকারীরকাছ থেকে কি প্রত্যাশা করা হয়। প্রশিক্ষণেরক্ষিত্রে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, প্রত্যেকটি মুজাহিদকে একজন দক্ষ যোদ্ধা বানানো, যাতে সে নিজেই সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতে পারে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে কি করতে হবে,তা জানতে পারে এবং এমন সামর্থ্য অর্জন করতে পারে, যাতে সে একাই শত্রুদের হাজারো সংখ্যক বাহিনীকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। প্রশিক্ষণ বলতে বুঝাচ্ছি মানসিক ও শারীরিক উভয় ধরনের সামর্থ্য অর্জন করা। দ্বীনি শিক্ষা তার আধ্যাত্মিক মনোবলকে বৃদ্ধি করবে। নিয়্যত হচ্ছে প্রশিক্ষণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,যাতে একজন মুজাহিদ একটি মহৎ লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নামতে পারে, যার মাধ্যমে সে অনন্তকালের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।


মানসিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনার সেই বুঝ এবং স্মরণ শক্তি তৈরী হবে যার দ্বারা আপনি অস্ত্র প্রশিক্ষণ,রসায়ন, যুদ্ধের কলা-কৌশল এবং এ রকম আরো অন্যান্য কিছু জানতে পারবেন। আপনি এই সকল জিনিস দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন যা এখন সারা বিশ্ব জুড়ে ইন্টারনেটে খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। আর রসায়নের ব্যাপারে আমাদের কোর্সে প্রয়োজন হচ্ছে বাস্তবিক অনুশীলনের পূর্বে মুখস্ত করা যা অনেক প্রতিষ্ঠানে মূখ্য বিষয় হিসেবে রাখা হয়।

শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে তৈরী হয় শক্তি এবং কোন কিছু অতি দ্রম্নততার সাথে করার ক্ষমতা। শক্তি অর্জন করাকে গেরিলা যুদ্ধের ক্ষিত্রে ঠিক তেমনভাবে জোড় দেয়া হয় না। যদিও এক্ষিত্রে প্রতিযোগিতার একটি বিষয় আছে, তবুও এটি শর্ত নয় যে, আপনাকে এমন শক্তি অর্জন করতে হবে যে, আপনার ব্রেকিং করতে হবে অথবা খুব ভাল বাসকেট বল খেলোয়াড় হতে হবে। যে বিষয়টি থাকতে হবে তাহলো,পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত দ্রম্নত চিমত্মা করা এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। একটি উত্তপ্ত যুদ্ধের ময়দানে যেখানে সূর্যের প্রচন্ড তাপ দাউ দাউ করে জ্বলছে, সেখানেও আপনাকে হতে হবে খুব চতুর এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষিত্রে বুদ্ধিমান। অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা যাবৎ কোন পানি পাওয়া যায় না, তাই আপনাকে তীব্র তৃষ্ণা এবং একই সাথে প্রচন্ড ক্ষুধা সহ্য করার শারীরিক সামর্থ্য ও অভ্যাস তৈরী করতে হবে। শক্তি অর্জনের ক্ষিত্রে শারীরিক অবস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার শরীরকে নানা উপায়ে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে টিকে থাকার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এক্ষিত্রে আমরা মরু ভূমির উপরে প্রচন্ড সূর্যের তাপের নিচে বিরামহীনভাবে কয়েক ঘন্টা শরীরচর্চা ও বিভিন্ন কলা কৌশল অনুশীলনের চেষ্টা করতে পারি।

প্রশিক্ষণের ক্ষিত্রে শারীরিক প্রশিক্ষণ নেয়া খুবই সহজ একটি কাজ। ভাল শক্তি অর্জন করার ক্ষিত্রে প্রথমে যে জিনিসটির প্রয়োজন তাহলো- সঠিক দিকনির্দেশনা। শাইখ ইউসূফ আল উয়াইরী رحمهالله গেরিলা মুজাহিদীনদের জন্য একটি বই লিখেছেন যেখানে তিনি শক্তি অর্জনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছেন। যেমনঃ খুব দ্রম্নত দৌঁড়ানো, যদিও এটি যানবাহন অথবা অতর্কিত আক্রমণের ক্ষিত্রে এতটা জরুরী নয়। এর প্রয়োজনীয়তা হয় ঐ সকল অপারেশনের ক্ষিত্রে যেখানে শত্রুদের অবস্থানের মধ্যে খুব দ্রম্নততার সাথে আক্রমণ করতে হয় অথবা আক্রমণের পর দ্রম্নত সরে যেতে হয়। এজন্য আপনাকে অবশ্য কার্ল লিউইস- হওয়ার কোন দরকার নেই; আপনাকে শুধু জানতে হবে যে, কখন আপনাকে যেতে হবে এবং সামর্থ্য থাকতে হবে, যাতে ভারী কিছু নিয়েও দ্রম্নত সরে যেতে পারেন।

সর্বশেষে, প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আমীর নেতাদের কাছে অনুশীলনকারীদের সামর্থ্যের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিবেন। আপনাকে সব কিছু অতিক্রম করার চেষ্টা করতে হবে, যাতে আপনাকে অপারেশনে অংশগ্রহণের আরো বেশি সুযোগ দেয়া হয়।

মুখ্তার হাসান-

No comments:

Post a Comment