Showing posts with label Ibadah. Show all posts
Showing posts with label Ibadah. Show all posts
Tuesday, May 2, 2017
Friday, June 12, 2015
ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময়কাল
ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময়কাল
49002: ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময়কাল
প্রশ্ন:
ইতিকাফের
সর্বনিম্ন সময় কতটুকু?
আমি কি অল্প কিছু
সময়ের জন্য ইতিকাফ করতে পারি?
নাকি একসাথে
কয়েকদিনের জন্য ইতিকাফ করতে
হবে?
উত্তর:
সকল প্রশংসা
আল্লাহর জন্য।
ইতিকাফের
সর্বনিম্ন সময়ের ব্যাপারে
আলেমগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে।
অধিকাংশ আলেমের মতে ইতিকাফের
সর্বনিম্ন সময় এক মুহূর্তের
জন্যও হতে পারে। এটি ইমাম আবু
হানিফা, ইমাম
শাফেয়ি ও ইমাম আহমাদের মাযহাব।
দেখুন: আদ্দুরুল
মুখতার (১/৪৪৫),
আলমাজমু (৬/৪৮৯),
আলইনস্বাফ (৭/৫৬৬)।
ইমাম নববী আল
মাজমূ (৬/৫১৪)
গ্রন্থে বলেছেন:
“আর ইতিকাফের
সর্বনিম্ন সময় সম্পর্কে
অধিকাংশ আলেম দৃঢ়তার সাথে
যে মত ব্যক্ত করেছেন সেটাই
সঠিক মত। তা হচ্ছে-
ইতিকাফের জন্য
মসজিদে অবস্থান করা শর্ত।
সেটা বেশি সময়ের জন্য হতে
পারে, কম
সময়ের জন্যেও হতে পারে।
এমনকি সামান্য সময় বা এক
মুহূর্তের জন্যেও হতে
পারে।” সমাপ্ত ও সংক্ষেপিত।
এ মতের পক্ষে
তাঁরা কয়েকটি দলীল পেশ করেছেন
:
১.
ইতিকাফ শব্দের
আভিধানিক অর্থ হচ্ছে-
অবস্থান করা।
এটি দীর্ঘ সময়ের জন্যেও হতে
পারে, অল্প
সময়ের জন্যেও হতে পারে। শরিয়তের
এমন কোন দলীল পাওয়া যায় না যা
নির্দিষ্ট কোন সময়সীমার মধ্যে
ইতিকাফকে সীমাবদ্ধ করে দিবে।
ইবনে হাযম
বলেছেন:
“আরবী ভাষায়
ইতিকাফ শব্দের অর্থ-অবস্থান
করা। তাই আল্লাহর মসজিদে তাঁর
নৈকট্য লাভের আশায় যে কোন
অবস্থানই হল ইতিকাফ। সেটা কম
সময়ের জন্যে হোক অথবা বেশি
সময়ের জন্যে হোক। যেহেতু
কুরআন ও সুন্নাহ নির্দিষ্ট
কোন সংখ্যা বা সময় নির্ধারণ
করেনি” সমাপ্ত। [আল-মুহাল্লা
(৫/১৭৯)]
২.
ইবনে আবু শাইবাহ
ইয়ালা ইবনে উমাইয়্যা (রাঃ)
থেকে বর্ণনা করেন
যে তিনি বলেছেন:
“আমি মসজিদে
অল্প কিছু সময় অবস্থান করলেও
সেটা আমি ইতিকাফের নিয়্যতে
অবস্থান করি।” ইবনে হাযম
‘আল-মুহাল্লা’
গ্রন্থে (৫/১৭৯)
এই রেওয়ায়েত দিয়ে
দলীল পেশ করেছেন এবং হাফেজ
ইবনে হাজার ‘ফাতহুল বারী’
গ্রন্থে তা উদ্ধৃত করেছেন;
কিন্তু কোন মন্তব্য
করেননি। রেওয়ায়েতটিতে الساعة
(ঘন্টা)
দ্বারা বর্তমান
পরিভাষায় যা বুঝি ৬০ মিনিট
সেটা উদ্দেশ্য নয়। বরং এর
দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে-
কিছু সময়।
কিছু কিছু
আলেমের মতে ইতিকাফের সর্বনিম্ন
সময় একদিন। ইমাম আবু হানিফা
থেকে ও মালেকি মাযহাবের কোন
কোন আলেম থেকে এ ধরনের একটি
বর্ণনা পাওয়া যায়।
শাইখ ইবনে বায
‘মাজমুউল ফাতাওয়া’ গ্রন্থে
(১৫/৪৪১)
বলেছেন:
“ইতিকাফ হলো
আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের
উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান
করা, সময়
কম হোক অথবা বেশি হোক। কারণ
আমার জানা মতে এমন কোন বর্ণনা
পাওয়া যায় না যা একদিন,
দুইদিন বা এর
চেয়ে বেশী দিনের জন্য ইতিকাফ
করাকে নির্দিষ্ট করবে। ইতিকাফ
শরিয়তসম্মত ইবাদত। তবে
কেউ যদি মান্নত করে তখন মান্নতের
কারণে তার উপর ইতিকাফ করা
ওয়াজিব হয়ে যাবে। ইতিকাফের
বিধান নারী-পুরুষ
উভয়ের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।”
ইতিকাফ করণীয় ও বর্জনীয়
ইতিকাফ: করণীয় ও বর্জনীয়
ইতিকাফ আরবি
শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে
কোনো স্থানে আটকে পড়া বা থেমে
যাওয়া। শরিয়তের পরিভাষায়,
আত্মশুদ্ধির
মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের
উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট
সময় পর্যন্ত দুনিয়ার সংশ্রব,
বন্ধন,
সম্বন্ধ ও
পরিবার-পরিজন
থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মসজিদে
(মহিলাদের
জন্য ঘরের একটি নির্দিষ্ট
স্থানে) অবস্থান
করে ইবাদত করাকে ইতিকাফ বলে।
ইতিকাফ যেকোনো সময় করা যায়।
রমজান মাসের শেষ ১০ দিন সুন্নাতে
মুয়াক্কাদা আলাল কেফায়া।
যিনি ইতিকাফ করেন,তাকে
মু’তাকিফ বলে।
ইতিকাফের
গুরুত্ব :
ইসলাম
সামাজিকতার ধর্ম। ইসলাম
বৈরাগ্যের ধর্ম নয় এবং বৈরাগ্যবাদ
সমর্থন করে না। তাই আল্লাহর
ইবাদতের জন্য অন্যান্য জাতির
সাধক, সন্ন্যাসীদের
মতো লোকালয় পরিত্যাগ করতে
বলা হয়নি। বরং লোকালয়ে ইবাদত
কেন্দ্র মসজিদে অবস্থানের
মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের
জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।
আল্লাহতায়ালা বলেন,
‘আর তোমরা
মসজিদের নির্দিষ্ট স্থানগুলোয়
অবস্থান করো,
যখন
ইতিকাফে থাক তখন স্ত্রীদের
সাথে সহবাস করো না। এগুলো
আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা।’
(সূরা
বাকারা-১৮৭)।
হজরত আবু
হুরায়রা রা: বলেন,
রাসূল সা:
প্রতি রমজানের
শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন।
কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তিকাল
করেন সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ
করেন। (বুখারি-মুসলিম)।
হজরত আয়েশা রা:
বলেন,
রাসূল সা:
প্রতি বছর রমজানের
শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন।
ইন্তিকালের আগ পর্যন্ত তিনি
এ নিয়ম পালন করেন। তার ইন্তিকালের
পর তার স্ত্রীরা এ নিয়ম জারি
রাখেন। (বুখারি)।
ইতিকাফের
প্রকারভেদ :
ইতিকাফ
তিন প্রকার,
যথাÑ
১.
ওয়াজিব
ইতিকাফ। মান্নতের ইতিকাফ
ওয়াজিব, তা
পূর্ণ করতেই হবে। হজরত ওমর
রা: এক
দিন রাসূল সা:-কে
বলেন, ‘হে
রাসূল! জাহেলি
যুগে আমি হারাম শরিফে এক রাত
ইতিকাফ করার মান্নত করেছিলাম।
রাসূল সা: বলেন,
তুমি
মান্নত পূরণ করো। (বুখারি)।
২. সুন্নাত
ইতিকাফ। রমজানের শেষ ১০ দিন
ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা
আলাল কিফায়া। ৩.
মুস্তাহাব
ইতিকাফ। রমজানের শেষ ১০ দিন
ছাড়া অন্য যেকোনো সময় ইতিকাফ
মুস্তাহাব।
ইতিকাফের
শর্তগুলো :
মুসলমান
হওয়া। ইতিকাফের জন্য নিয়ত
করা। পুরুষদের জন্য মসজিদে
ছাড়া ইতিকাফ হবে না। শরীর
পাক-পবিত্র
হতে হবে। রোজাদার হতে হবে।
জ্ঞানসম্পন্ন ও প্রাপ্তবয়স্ক
হতে হবে। আবশ্যকীয় প্রয়োজন
ছাড়া মসজিদে অবস্থান করতে
হবে।
ইতিকাফে
করণীয়গুলো :
ইতিকাফে
করণীয়গুলো হলো:
বেশি করে
কুরআন তিলাওয়াত করা। তাসবিহ-তাহলিল
জিকির-আজকার
করা। বেশি করে দরুদ ও ইস্তিগফার
পড়া। তাফসির অধ্যয়ন ও হাদিসের
জ্ঞানচর্চা করা। বেশি করে
নফল নামাজ পড়া বিশেষ করে
তাহিয়্যাতুল ওজু,
সালাতুল
এশরাক, সালাতুল
চাশত, সালাতুল
জাওয়াশ, সালাতুল
হাজত, সালাতুল
আওয়াবিন ও সালাতুল তাসবিহ
প্রভৃতি নিয়মিত আদায় করা।
দ্বীন সম্পর্কে পড়াশোনা করা
ও করানো। ওয়াজ ও দ্বীনের প্রচার
এবং প্রসারের কাজে লিপ্ত থাকা।
ইসলাম ও ইসলামি আন্দোলন সম্পর্কে
বইপত্র পড়া ও রচনা করা। মসজিদে
থেকে করা যায় এমন সব কাজই ইতিকাফ
অবস্থায় করা যায়।
ইতিকাফে
বর্জনীয়গুলো
: নিরর্থক,
অপ্রয়োজনীয়,
অশ্লীল
কথা বলা ও কাজ করা। দুনিয়াবি
কোনো কাজ করা। একবারে চুপচাপ
বসে থাকা। অন্যের গিবত করা।
লেনদেন বা বেচাকেনা করা। বসে
বসে বাজে গল্প বলা বা শোনা
ইত্যাদি।
যে
কারণে ইতিকাফ নষ্ট হয় :
মসজিদ
বা নারীদের ইতিকাফ স্থান থেকে
বিনাপ্রয়োজনে বের হলে। ইসলাম
ত্যাগ করলে। অজ্ঞান,
পাগল বা
মাতাল হলে। নিয়মিত ঋতুস্রাব
দেখা দিলে। সন্তান ভূমিষ্ঠ
হলে বা গর্ভপাত হলে। সহবাস
করলে। বীর্যপাত ঘটলে কিন্তু
স্বপ্নদোষ হলে হবে না।
ইতিকাফকারীকে জোরপূর্বক
মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে
বের করে দিলে। শরিয়ত অনুমোদিত
কোনো কাজে বাইরে গেলে যদি কেউ
আটকে রাখে বা রোগে আক্রান্ত
হয়ে পড়ে ফলে ইতিকাফ স্থানে
যেতে দেরি হয় তবে ইতিকাফ নষ্ট
হয়ে যাবে।
যেসব
কারণে বাইরে যাওয়ার অনুমতি
আছে :
যেকোনো
প্রাকৃতিক বা শরিয়তের প্রয়োজনে
বাইরে যাওয়া যায়। জুমার নামাজ
পড়ার ব্যবস্থা না থাকলে জুমা
পড়ার জন্য নিকটবর্তী জুমা
মসজিদে যাওয়া যায়,
তবে এ
ব্যাপারে সময়ের আন্দাজ করা
ইতিকাফকারীর ওপর নির্ভর করে।
প্রসাব, পায়খানা
ও অজু করার জন্য বাইরে যাওয়া
যাবে। খানা আনার লোক না থাকলে
বাড়ি থেকে খানা এনে মসজিদে
খাওয়া যাবে।
আজান দেয়ার
জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়া
যাবে। ঘুমানো ও আরাম করা যাবে।
ফরজ গোসলের জন্য বাইরে যাওয়া।
কোনো কারণে মসজিদ ভেঙে পড়লে
বা আগুন লাগলে দ্রুত ওই স্থান
ত্যাগ করা। ইতিকাফের নিয়ত
করার সময় যদি নিয়ত করে থাকে
আপনজনের মৃত্যু হলে জানাজায়
অংশ নেবে তবেই কেবল অংশ নিতে
পারবে, অন্যথায়
জানাজায় অংশ নিতে পারবে না।
নিয়মিত সাধারণ গোসল না করা
ভালো, তবে
ইমামদের মতে ইতিকাফকারী যদি
অস্বস্তিবোধ করে,
তবে করতে পারে।
কেবল ওয়াজিব ইতিকাফের সময়
রোজাদার হতে হয় আর সুন্নাত
ইতিকাফ তো রমজানেই হয়ে থাকে।
সর্বদা ইতিকাফের হক ও মসজিদের
আদবের প্রতি তীè
দৃষ্টি রাখতে
হবে।
অতএব,
আল্লাহতায়ালার
কাছে সবার চাওয়া এটিই হোক,
অন্তত শেষ ১০ দিন
যেন ইতিকাফের মধ্য দিয়ে রমজান
মাস অতিবাহিত করতে পারি;
যাতে রমজান মাস
আমাদের মধ্যে রহমত,
বরকত ও মাগফিরাতের
যে সাওগত নিয়ে আগমন করেছে,
তা অর্জন করতে
পারি। তবে ইতিহাফের বড় উদ্দেশ্য
হলো শবেকদরের ফজিলত লাভ করতে
পারা।
ইতিকাফ রমজানের শেষ দশকের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল ইবাদত-বন্দেগি
ইতিকাফ: রমজানের শেষ দশকের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল ইবাদত-বন্দেগি
রমজানের শেষ
দশকের একটি আমল হলো ইতিকাফ
করা। ইতিকাফ হলো এই মুবারক
দিনগুলোয় ইবাদত-বন্দেগীর
উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান
ও রাতযাপন করা। ইতিকাফ শরীয়তসম্মত
একটি আমল হওয়ার ব্যাপারে আল
কুরআনে ইঙ্গিত রয়েছে। ইরশাদ
হয়েছে : وَأَنْتُمْ
عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ‘এ অবস্থায়
যে তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত’(সূরা
আল বাকারা:১৮৭)।
ইতিকাফ বিষয়ে সহীহ বুখারীতে বর্ণিত দীর্ঘ এক হাদীসের শেষাংশে রয়েছে : مَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَعْتَكِفْ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ فَقَدْ أُرِيْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أُنْسِيْتُهَا ‘যে আমার সাথে ইতিকাফ করতে চায় সে যেন শেষ দশকে ইতিকাফ করে, কেননা এই রাত আমাকে দেখানো হয়েছিল, পরে আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে (বুখারী)।
তাই যার শক্তি সামর্থ্য আছে তার উচিত হবে ইতিকাফে বসে শেষ দশকের রাতগুলো যাপন করা। ইতিকাফকারী নিজকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর আনুগত্য, দুআ-মুনাজাত, যিকর ইত্যাদির জন্য সে নিজকে মসজিদে আঁটকে ফেলে। দুনিয়াবী সকল দৌড়ঝাঁপ থেকে মুক্ত হয়ে সে মসজিদের পবিত্র আবহে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলে। মন ও শরীর উভয়টাকেই সে নিরঙ্কুশভাবে রাব্বুল আলামীনের দরবারে সঁপে দেয়। যা কিছু আল্লাহকে সন্তষ্ট করে শুধু তাতেই নিজকে সংশ্লিষ্ট করে নেয়। আর এভাবে সে শুধুই আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। যা করলে আল্লাহ রাযি হন শুধু তাতেই নিজকে নিয়োজিত করে।
সুপ্রিয় মুসল্লিয়ান! ইতিকাফের তাৎপর্য হলো, সৃষ্টজীব থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সুনির্দিষ্ট বলয়ের মধ্যে নিজকে আবদ্ধ করে নেয়া। আর আল্লাহ সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান যত বাড়বে, আল্লাহর মহব্বত হৃদয়ে যত পোক্ত হবে, আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে যতটুকু অগ্রসর হবে, দুনিয়ার প্রতি প্রেম ভালোবাসা ততই অর্ন্তহিত হবে।
ইতিকাফ হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে পালিত জিবরীল আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত। জিবরীল আ. প্রতি রমজানেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কুরআন শুনাতেন এবং নিজেও তাঁর থেকে শুনতেন। আর যে বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওয়াফাত হয় সে বছর তিনি দু’বার কুরআন শুনান এবং শোনেন (বুখারী ও মুসলিম)।
ইবনে আব্বাস রাযি.এর বর্ণনায় বুখারীতে আরো এসেছে : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُوْنُ فِيْ رَمَضَانَ حِيْنَ يَلْقَاهُ جِبْرِيْلُ، فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ وَكَانَ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلامُ يَلْقَاهُ كُلَّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ، فَلَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِيْنَ يَلْقَاهُ جِبْرِيْلُ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক দানকারী ছিলেন, তবে তিনি সবচে’ বেশি দান করতেন যখন জিবরীল আ. তাঁকে কুরআন শুনাতেন। আর জিবরীল আ. রমজানের প্রতি রাতেই তার সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁকে কুরআন শেখাতেন। যখন জিব্রিল আ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি বেগবান বাতাস থেকেও অর্থকড়ি ব্যয়ের ক্ষেত্রে অধিক দানশীল হতেন’ (বুখারী ও মুসলিম)।
ইতিকাফের ফযীলত
রমজানের শেষ দশকের রাতগুলোর যেকোনো একটিতে শবে কদর রয়েছে। আর শবে কদরের ইবাদত তিরাশি বছর চার মাস ইবাদত করার চেয়েও উত্তম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শবে কদর প্রাপ্তির আশা নিয়েই ইতিকাফ করতেন। তিনি প্রথম দশকেও ইতিকাফ করেছেন, মধ্য দশকেও করেছেন, এরপর শেষ দশকে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন: ‘আমি প্রথম দশকে ইতিকাফ করেছি, এরপর মধ্য দশকে, এরপর আমাকে দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, তা শেষ দশকে। অতএব তোমাদের মধ্যে যার ইতিকাফ করা পছন্দ হয় সে যেন ইতিকাফ করে (মুসলিম)।
ইতিকাফ বিষয়ে সহীহ বুখারীতে বর্ণিত দীর্ঘ এক হাদীসের শেষাংশে রয়েছে : مَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَعْتَكِفْ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ فَقَدْ أُرِيْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أُنْسِيْتُهَا ‘যে আমার সাথে ইতিকাফ করতে চায় সে যেন শেষ দশকে ইতিকাফ করে, কেননা এই রাত আমাকে দেখানো হয়েছিল, পরে আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে (বুখারী)।
তাই যার শক্তি সামর্থ্য আছে তার উচিত হবে ইতিকাফে বসে শেষ দশকের রাতগুলো যাপন করা। ইতিকাফকারী নিজকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর আনুগত্য, দুআ-মুনাজাত, যিকর ইত্যাদির জন্য সে নিজকে মসজিদে আঁটকে ফেলে। দুনিয়াবী সকল দৌড়ঝাঁপ থেকে মুক্ত হয়ে সে মসজিদের পবিত্র আবহে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলে। মন ও শরীর উভয়টাকেই সে নিরঙ্কুশভাবে রাব্বুল আলামীনের দরবারে সঁপে দেয়। যা কিছু আল্লাহকে সন্তষ্ট করে শুধু তাতেই নিজকে সংশ্লিষ্ট করে নেয়। আর এভাবে সে শুধুই আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। যা করলে আল্লাহ রাযি হন শুধু তাতেই নিজকে নিয়োজিত করে।
সুপ্রিয় মুসল্লিয়ান! ইতিকাফের তাৎপর্য হলো, সৃষ্টজীব থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সুনির্দিষ্ট বলয়ের মধ্যে নিজকে আবদ্ধ করে নেয়া। আর আল্লাহ সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান যত বাড়বে, আল্লাহর মহব্বত হৃদয়ে যত পোক্ত হবে, আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে যতটুকু অগ্রসর হবে, দুনিয়ার প্রতি প্রেম ভালোবাসা ততই অর্ন্তহিত হবে।
ইতিকাফ হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে পালিত জিবরীল আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত। জিবরীল আ. প্রতি রমজানেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কুরআন শুনাতেন এবং নিজেও তাঁর থেকে শুনতেন। আর যে বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওয়াফাত হয় সে বছর তিনি দু’বার কুরআন শুনান এবং শোনেন (বুখারী ও মুসলিম)।
ইবনে আব্বাস রাযি.এর বর্ণনায় বুখারীতে আরো এসেছে : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُوْنُ فِيْ رَمَضَانَ حِيْنَ يَلْقَاهُ جِبْرِيْلُ، فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ وَكَانَ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلامُ يَلْقَاهُ كُلَّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ، فَلَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِيْنَ يَلْقَاهُ جِبْرِيْلُ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক দানকারী ছিলেন, তবে তিনি সবচে’ বেশি দান করতেন যখন জিবরীল আ. তাঁকে কুরআন শুনাতেন। আর জিবরীল আ. রমজানের প্রতি রাতেই তার সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁকে কুরআন শেখাতেন। যখন জিব্রিল আ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি বেগবান বাতাস থেকেও অর্থকড়ি ব্যয়ের ক্ষেত্রে অধিক দানশীল হতেন’ (বুখারী ও মুসলিম)।
ইতিকাফের ফযীলত
রমজানের শেষ দশকের রাতগুলোর যেকোনো একটিতে শবে কদর রয়েছে। আর শবে কদরের ইবাদত তিরাশি বছর চার মাস ইবাদত করার চেয়েও উত্তম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শবে কদর প্রাপ্তির আশা নিয়েই ইতিকাফ করতেন। তিনি প্রথম দশকেও ইতিকাফ করেছেন, মধ্য দশকেও করেছেন, এরপর শেষ দশকে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন: ‘আমি প্রথম দশকে ইতিকাফ করেছি, এরপর মধ্য দশকে, এরপর আমাকে দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, তা শেষ দশকে। অতএব তোমাদের মধ্যে যার ইতিকাফ করা পছন্দ হয় সে যেন ইতিকাফ করে (মুসলিম)।
রাসূলুল্লাল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ইতিকাফ করা কখনো বাদ
দেননি। তিনি প্রতি বছর দশ দিন
ইতিকাফ করতেন। আর যে বছর
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়াফাত
ফরমান, সে
বছর তিনি বিশ দিন ইতিকাফ করেন।
উপরন্তু যখন তাঁর স্ত্রীগণ
ইতিকাফ করতে প্রতিযোগিতা
শুরু করলেন, তিনি
ইতিকাফ করা ছেড়ে দিলেন এবং
তা শাওয়ালের প্রথম দশকে কাজা
করে নিলেন (বুখারী)।
ইতিকাফ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন বিষয় থেকে নিজকে দূরে রেখেছেন, যা তার জন্য বৈধ ছিল। যেমন স্ত্রীসঙ্গ ও নিদ্রাগমন। রমজানের শেষ দশকে কঠোর মেহনতি হওয়া এবং লুঙ্গি বেঁধে নেয়ার ব্যাপারে আয়েশা রাযি. থেকে যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তার অর্থ এটাই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণও ইতিকাফ করতেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওয়াফাতের পরও তাঁরা ইতিকাফ করেছেন। এমনকি আয়েশা রাযি. থেকে এক বর্ণনায় এসেছে যে, জনৈকা ইস্তেহাযাগ্রস্তা স্ত্রী একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে এ অবস্থায় ইতিকাফ করলেন যে, তিনি রক্তিম ও হরিদ্রা বর্ণের রক্ত দেখতে পাচ্ছিলেন। তিনি যখন নামাজ পড়তেন আমরা তখন হয়তো তাঁর নিচে প্লেট রেখে দিতাম।
আসুন এবার আমরা ইতিকাফের কিছু আহকাম ও মাসাইল নিয়ে আলোচনা করি।
১. রাসূল্ল্লুাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের অনুসরণ করে ইতিকাফের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করা।
২. নিয়ত করে ইতিকাফ শুরু করে দেয়ার পর ইতিকাফ পূর্ণ করা জরুরী নয়।
৩. কমপে কত দিন ইতিকাফ করলে ইতিকাফ হিসেবে ধরা হবে, বিষয়টি অনির্দিষ্ট। তবে ইতিকাফকারী যেদিন থেকে ইতিকাফ শুরু করতে ইচ্ছুক, সেদিন সূর্যাস্তের পূর্বেই তাকে নিজ ইতিকাফের জায়গায় পৌঁছে যেতে হবে।
৪. নিজের জন্য একটা জায়গা বেছে নেয়া জরুরী, যেখানে নীরবে আল্লাহর যিকর-আযকার করতে পারবে। প্রয়োজনের সময় আরাম করতে পরবে। কাপড় পরিবর্তন করতে পারবে। পরিবারের কেউ এলে তার সাথে সাক্ষৎ করতে পারবে।
৫. ইতিকাফকারী মসজিদের বিভিন্ন প্রান্তে নফল নামাজ আদায় করতে পারবে। তবে ইতিকাফকারীর জন্য উত্তম হলো অধিক নড়াচড়া ও নফল নামাজ না পড়া। এর প্রথম কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নিজকে লুকিয়ে রাখা যায়, মসজিদের অভ্যন্তরে এমন একটি জায়গা তৈরি করে নিতেন। আর দ্বিতীয় কারণ যখন কেউ নামাজ পড়ার জায়গায় বসে থাকে তখন ফেরেশতারা তার প্রতি রহমত বর্ষণের দু‘আ করতে থাকে (বুখারী)।
ইতিকাফ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন বিষয় থেকে নিজকে দূরে রেখেছেন, যা তার জন্য বৈধ ছিল। যেমন স্ত্রীসঙ্গ ও নিদ্রাগমন। রমজানের শেষ দশকে কঠোর মেহনতি হওয়া এবং লুঙ্গি বেঁধে নেয়ার ব্যাপারে আয়েশা রাযি. থেকে যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তার অর্থ এটাই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণও ইতিকাফ করতেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওয়াফাতের পরও তাঁরা ইতিকাফ করেছেন। এমনকি আয়েশা রাযি. থেকে এক বর্ণনায় এসেছে যে, জনৈকা ইস্তেহাযাগ্রস্তা স্ত্রী একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে এ অবস্থায় ইতিকাফ করলেন যে, তিনি রক্তিম ও হরিদ্রা বর্ণের রক্ত দেখতে পাচ্ছিলেন। তিনি যখন নামাজ পড়তেন আমরা তখন হয়তো তাঁর নিচে প্লেট রেখে দিতাম।
আসুন এবার আমরা ইতিকাফের কিছু আহকাম ও মাসাইল নিয়ে আলোচনা করি।
১. রাসূল্ল্লুাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের অনুসরণ করে ইতিকাফের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করা।
২. নিয়ত করে ইতিকাফ শুরু করে দেয়ার পর ইতিকাফ পূর্ণ করা জরুরী নয়।
৩. কমপে কত দিন ইতিকাফ করলে ইতিকাফ হিসেবে ধরা হবে, বিষয়টি অনির্দিষ্ট। তবে ইতিকাফকারী যেদিন থেকে ইতিকাফ শুরু করতে ইচ্ছুক, সেদিন সূর্যাস্তের পূর্বেই তাকে নিজ ইতিকাফের জায়গায় পৌঁছে যেতে হবে।
৪. নিজের জন্য একটা জায়গা বেছে নেয়া জরুরী, যেখানে নীরবে আল্লাহর যিকর-আযকার করতে পারবে। প্রয়োজনের সময় আরাম করতে পরবে। কাপড় পরিবর্তন করতে পারবে। পরিবারের কেউ এলে তার সাথে সাক্ষৎ করতে পারবে।
৫. ইতিকাফকারী মসজিদের বিভিন্ন প্রান্তে নফল নামাজ আদায় করতে পারবে। তবে ইতিকাফকারীর জন্য উত্তম হলো অধিক নড়াচড়া ও নফল নামাজ না পড়া। এর প্রথম কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নিজকে লুকিয়ে রাখা যায়, মসজিদের অভ্যন্তরে এমন একটি জায়গা তৈরি করে নিতেন। আর দ্বিতীয় কারণ যখন কেউ নামাজ পড়ার জায়গায় বসে থাকে তখন ফেরেশতারা তার প্রতি রহমত বর্ষণের দু‘আ করতে থাকে (বুখারী)।
৬.
ইতিকাফ অবস্থায়
স্বামী-স্ত্রী
মিলিত হওয়া,
চুম্বন,স্পর্শ
নিষেধ। যেমন আল্লাহ রাব্বুল
আলামীন বলেন :
وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ
وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِد
‘তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত
অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে
মিলিত হবে না’ (সূরা
আল-বাকারা
: ১৮৭)।
ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া না হওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে।
এক. মানবীয় প্রয়োজনে বের হওয়ার অনুমতি আছে। যেমন পায়খানা, প্রস্রাব, পানাহার – যদি তা মসজিদে পৌঁছে দেওয়ার মত কেউ না থাকে। অনুরূপভাবে যে মসজিদে ইতিকাফ করা হচ্ছে তাতে যদি জুমার নামাজ না হয়, তাহলে জুমা আদায়ের জন্য অন্য মসজিদে যাওয়ার অনুমতি আছে।
দুই. এমন সব নেক-আমল বা ইবাদত-বন্দেগীর জন্য বের হওয়া যাবে না, যা ইতিকাফকারীর জন্য অপরিহার্য নয়। যেমন রোগীর সেবা করা, জানাজায় অংশ নেয়া ইত্যাদি। তবে যদি ইতকিাফের শুরুতে এ জাতীয় কোনো শর্ত করে নেয়া হয়, তবে তার কথা ভিন্ন।
তিন. এমন সকল কাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না যা ইতিকাফ বিরোধী। যেমন ক্রয়-বিক্রয়, চাষাবাদ ইত্যাদি। ইতিকাফ অবস্থায় এ সকল কাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ বাতিল হয়ে যাবে।
ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া না হওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে।
এক. মানবীয় প্রয়োজনে বের হওয়ার অনুমতি আছে। যেমন পায়খানা, প্রস্রাব, পানাহার – যদি তা মসজিদে পৌঁছে দেওয়ার মত কেউ না থাকে। অনুরূপভাবে যে মসজিদে ইতিকাফ করা হচ্ছে তাতে যদি জুমার নামাজ না হয়, তাহলে জুমা আদায়ের জন্য অন্য মসজিদে যাওয়ার অনুমতি আছে।
দুই. এমন সব নেক-আমল বা ইবাদত-বন্দেগীর জন্য বের হওয়া যাবে না, যা ইতিকাফকারীর জন্য অপরিহার্য নয়। যেমন রোগীর সেবা করা, জানাজায় অংশ নেয়া ইত্যাদি। তবে যদি ইতকিাফের শুরুতে এ জাতীয় কোনো শর্ত করে নেয়া হয়, তবে তার কথা ভিন্ন।
তিন. এমন সকল কাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না যা ইতিকাফ বিরোধী। যেমন ক্রয়-বিক্রয়, চাষাবাদ ইত্যাদি। ইতিকাফ অবস্থায় এ সকল কাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ বাতিল হয়ে যাবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)