Friday, August 12, 2011

মানুষের উপর জিনের আছর : কারণ, প্রতিকার ও সুরক্ষার উপায় ২

জিন তিন প্রকার
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সম্পর্কে বলেছেন :
الجن ثلاثة أصناف: صنف يطير في الهواء، وصنف حيات وكلاب، وصنف يحلون ويظعنون). رواه الطبراني، وابن حبان والحاكم أنظر صحيح الجامع الصغير للألباني رقم الحديث 3114 (
জিন তিন প্রকারএক. যারা শূন্যে উড়ে বেড়ায়
দুই. কিছু সাপ ও কুকুর
তিন. মানুষের কাছে আসে ও চলে যায়
(সূত্র : তাবারানীপ্রখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেনদেখুন, সহীহ আল জামে আস সাগীর, হাদীস নং ৩১১৪, আবু সালাবা আল খাশানী রা. থেকে বর্ণিত।) (মুজামু আলফাজ আল-আকীদাহ)
জিন বিভিন্ন প্রাণীর রূপ ধারণ করতে পারেকিন্তু তাদের একটি গ্রুপ সর্বদা সাপ ও কুকুরের বেশ ধারণ করে চলাফেরা করে মানব সমাজেএটা তাদের স্থায়ী রূপ
জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস ঈমানের দাবী
একজন মুসলিমকে অবশ্যই জিনের অস্তিত্ব স্বীকার করতে হবেযদি সে জিনের অস্তিত্ব অস্বীকার করে, তাহলে সে মুমিন থাকবে নাজিনের অস্তিত্ব স্বীকার ঈমান বিল গাইব বা অদৃশ্যের প্রতি ঈমান আনার অন্তর্ভূক্তআল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল কুরআনের প্রায় পঞ্চাশ বার জিনের আলোচনা করেছেনজিনজাতির সৃষ্টি, সৃষ্টির উদ্দেশ্য, তাদের ইসলাম গ্রহণ, মানুষের পূর্বে তাদের সৃষ্টি করা, ইবলীস জিনের অন্তর্ভূক্ত, সূরা আর রাহমানে জিন ও মানুষকে এক সাথে সম্বোধন, নবী সুলাইমান আলাহিসসালাম  এর আমলে জিনদের কাজ-কর্ম করা, তাদের মধ্যে রাজমিস্ত্রী ও ডুবুরী থাকার কথা, তাদের রোজ হাশরে বিচার শাস্তি ও পুরস্কারের সম্মুখীন হওয়া ইত্যাদি বহু তথ্য আল কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উল্লেখ করেছেনতাদের সম্পর্কে বলতে যেয়ে সূরা আল-জিন নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল করেছেনতাই কোন মুসলমান জিনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে আল্লাহর কালামকে অস্বীকার করার মত কাজ করতে পারে নাতেমনি জিনকে রূপক অর্থে ব্যবহার করার কথাও ভাবতে পারে নাআহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা এটাইবিভ্রান্ত ও বিলুপ্ত মুতাযিলা ও জাহমিয়্যা সমপ্রদায় জিনের অস্তিত্ব স্বীকার করে না

No comments:

Post a Comment