Saturday, April 16, 2011

poristhitir shikar


আমি "পরিস্থিতির শিকার"- কোনো মানুশ এই কথাটি বলার মাধ্যমেই প্রমান করে যে, সে উক্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার যোগ্যতা রাখে না । এই মানুশগুলোকে আমরা যেভাবে মুল্যায়ন করতে পারি তা হলো- প্রথমত এরা মানুশ হিসাবে আযোগ্য দ্বিতীয়ত এরা ধৃস্টতা অথবা দুর্বলতা প্রমান করছে ।

কেনো এরা মানুশ হিসাবে আযোগ্য ?
ধরুন, আপনার বাড়িতে ডাকাতরা আক্রমন করলো । আপনি তাদের প্রতিরোধের সামান্য ব্যবস্থাও নিলেন না, তাদের হাত থেকে বাচার জন্যে অন্যের সাহায্য চেয়ে একটা চিৎকারও দিলেন না । আপনি বলতে পারেন- এগুলো করলে তারা আমার ক্ষতি করতে পারতো ।
আমি বলি, কি উপকারটাই না তারা করে গেলো আপনার জন্যে !
আপনার যা অবস্থা তাতে দেখছি, কেউ যদি আপনাকে কাটাচামচ ধরেও আপনার সব কিছু লিখে দিতে বলে আপনি তাও করতে সদা প্রস্তুত ! মানুশ হিসাবে আপনার যোগ্যতা আপনি নিজেই বিবেচনা করুন । Shame! Shame! Shame!
যা রক্ষা করার ক্ষমতা নেই তা প্রস্তুত করেন কেনো ? কেনো পুর্বপ্রস্তুতি গ্রহন করেন নি ? এই পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকে কি কোনো ধারনাই আপনার ছিলো না ? আপনি কি এতদিন পৃথিবিতে বাস করতেন না ?

রোগ-বালাই, দুর্ঘটনা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মানব-সৃস্ট দুর্যোগগুলোর সাথে তুলনা করবেন না দয়া করে ।
মানব-সৃস্ট পরিস্থিতি আর ভাগ্য সম্পুর্ন এক জিনিস নয় ।

এক সাপ গিয়েছিলো পিরের কাছে মুরিদ হতে । পির রাজি হলেন না সাপকে মুরিদ বানাতে । কিন্তু সাপ নাছোড়বান্দা । অবশেষে পির রাজি হলেন । তবে শর্ত হলো, সাপকে বায়াত দিতে হবে যে, সে কাউকে ক্ষতি করতে পারবে না । সাপ তাতেও খুশি । বায়াত দিলো, মুরিদ হলো ।
এক রাতে সাপ ধানখেতের পাশে জিকির করছিলো । কৃষকরা সে সময় ধান কেটে আটি বাধছিলো । সামান্য আলোয় বুঝতে না পেরে একসময় সাপটিকেই দড়ি ভেবে তা দিয়ে আটি বাধলো । সাপের মেরুদন্ড যায় যায় । কৃষক বাড়িতে ধানের আটি রাখার পর কোনোমতে নিজেকে মুক্ত করে সাপ গেলো পির-বাবার কাছে
পির সাপের এ হাল দেখে বললো, "পাগলা ! তোর এ দশা হইলো ক্যামোনে ?"
সাপ বৃত্তান্ত খোলসা করার পর পির বললো "পাগলা ! আমি তোরে নিশেধ করেছিলাম দংশাতে, ফোস করতে তো নিশেধ করি নি । এ তো তোর-ই কর্ম-দোশ !"

এই পির আর এই সাপ আমাদের সমাজে বহু আছে । একটু চেখে দেখলেই হয়তো দূরে আর খোজ করা লাগবে না ।

কেনো এরা ধৃস্ট অথবা দুর্বল ?
এখানে বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, যেই মানুশটি পরিস্থিতির দোহায় দিচ্ছে সেই মানুশটি উক্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকে ধারনা রাখতো কিনা । যদি ধারনা রাখা স্বত্বেও পরিস্থিতির শিকার হওয়ার দোহায় দেয় তাহলে সে চরম নির্লজ্জ ও মহা ধৃস্ট । তার জন্যে ক্ষমা থাকাটা মানবতা বিরোধি ।
আর যদি সেই মানুশটি উক্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকে ধারনা না রাখার ফলে কোনো অন্যায় করে ফেলে তাহলে সে এই অন্যায়ের জন্য যাদের কাছে দায়বদ্ধ তাদের কাছে বিনিতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিবে । এই মুহুর্তে তাকে ক্ষমা না করাটা মানবতা বিরোধি । এখন যদি সে ক্ষমা না চায় তাহলে বুঝতে হবে মানুশটি চারিত্রিকভাবে প্রচন্ডমাত্রায় দুর্বল । ক্ষমা চাওয়ার মতো সৎ-সাহস নেই । তার ওপর আস্থা রাখা, তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা, তার কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া অথবা তার কোনো সাক্ষ্য গ্রহন করা অনুচিত । ছোট ছোট কাজে বারবার স্যরি বলা আর কোনো অন্যায় সংগঠিতো হওয়ার পর তার দায়ভার ঘাড়ে নিয়ে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করার হিম্মত দেখানোর মাঝে রয়েছে আলোকবর্ষের ব্যাবধান । এদের মধ্যে একটি বিশেষ শ্রেনি আছে যারা মনে করেন, ক্ষমা চাইলে তাদের আত্মসম্মান ক্ষুন্ন হয়ে যাবে যদিও এদের শ্লীলতাহানি হলেও আত্মসম্মান ক্ষুন্ন হয় না বরং সেক্ষেত্রে তারা হন "পরিস্থিতির শিকার" ! Shame! Shame! Shame!

কিছু সামাজিক প্রেক্ষাপট
আমাদের সমাজে বন্ধু-বান্ধবি, দেবর-ভাবি, শ্যালিকা-দুলাভাই, চাচাতো-মামাতো-খালাতো-ফুপাতো ভাই-বোনদের অবাধ মেলামেশার ফলে অসংখ্য মানুশ ইচ্ছায়-আনিচ্ছায় প্রতিনিয়ত তাদের আত্মসম্মান হারাচ্ছে । লোকলজ্জার ভয়ে সবকিছু লুকাতে বাধ্য হয় । আর জানাজানি হয়ে গেলে শুরু হয় একপক্ষের ওপর আরেক পক্ষের অযৌক্তির দোষাদোষি আরপ । শেষমেশ এরা 'পরিস্থতির শিকার' । এই পশুগুলো কি 'পরিস্থতির শিকার' ?
এরকম বহু দুলাভাই আর দেবর আছে এ সমাজে যারা শ্যালিকাকে অথবা ভাবিকে প্রথমে বোন আর পরে বৌ বানিয়ে নেয় । এরকম বহু শ্যালিকা অথবা ভাবিও আছে যারা দুলাভাইকে আর দেবরকে প্রথমে ভাই আর পরে দ্বিতীয় স্বামী বানিয়ে নেয় । বন্ধু-বান্ধবি আর কাজিন শ্রেনির কথা না হয় না-ই বললাম ।
ও আমার জাতি ! আমি প্রশ্ন করতে চাই এরা কি পরিস্থিতির শিকার ? এই শয়তানগুলো পরিস্থিতিকেই তাদের শিকারে পরিনত করে নিয়েছে । Shame! Shame! Shame!

নারীরা জনসম্মুক্ষে দেহ, পোশাক আর অলংকারের উত্তেজক প্রদর্শনী করলে কোনো দোষ নেই, তাহলে পুরুষরা তাদের প্রদর্শনীর মুল্যায়ন করলে দোষটা কোথায় ? তাছাড়া, এ নারীরা এসব প্রদর্শনী করছে তো আর নারীদেরকে দেখানোর জন্যে না । এক্ষেত্রে কিভাবে একটা নারী পরিস্থিতির শিকার হলো যেখানে সে নিজেই পরিস্থিতিটা সৃস্টি করলো ? আর, দাড়-কাকের সামনে পাকা আম ঝুলালে তো দাড়-কাক তাতে ঠোকরাবেই; এ তো সবারই জানা । এতে দাড়-কাকের কি দোষ ? নাকি চরম নির্লজ্জাটাকে আরও একটু বাড়িয়ে বলবে, "আমরা যা-ই করি না কেনো ওরা বলবে কেনো ? দেখবে কেনো ?" আরে ! তোমরা দেখাতে পারলে ওরা তা দেখতে পারবে না কেনো ? Shame! Shame! Shame!
সম-অধিকারের প্রশ্ন আসলে এ কথা বলতেই হয়- ও মেয়েরা, তোমরাও আদম-টিজিং শুরু করো । তাহলে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে । তোমরা হয়তো বলবে, "আমরাও কি ওদের মতো নাকি ?"
ও নারি ! তোমরা ওদের মতো হলেও তা করতে না ।
কিছু নারি এমনই, তারা সম-অধিকারের কথা বলে রাজপথে প্রদর্শনি করে, অথচ নারি কোটায় চাকরি নেওয়ার সময় এটাকে তাদের প্রতি করুনা মনে করে না । Shame! Shame! Shame!
বাজারে নাকি মশারি ছাড়া ওড়না পাওয়া যায় না । পাওয়া যাবে কি করে ? বাজার তো নির্ভর করে চাহিদার ওপর; তোমাদের চাহিদাই তো ওই মশারিগুলো ।

সেলফোনের ক্যামেরায় পোজ দেওয়ার সময় ভাবার প্রয়োজন হয় না যে, এর পরিনাম কি হতে পারে ? যখন তোমার একান্ত ব্যক্তিগত মুহুর্তগুলোর ঠিকানা হয় এলাকার ছেলেদের সেলফোন আর ইন্টারনেটের ওয়েবপেজগুলো, তখন সেটা হয় "পরিস্থতির শিকার" ! তখন দোষ হয় যারা এটা ছড়ালো তাদের ! কতবড় জঘন্য এই মানুশগুলো; কত সহজে এই মানুশগুলো নিজেদের কর্মফলগুলোকে অন্যের ওপরে দোষ হিসেবে চাপাতে পারে ! Shame! Shame! Shame!

আর একটা অতি সাধারন "পরিস্থতির শিকার" হচ্ছে, সেলফোন । বন্ধুত্ব বা আত্মীয়তার সুত্রতায় শুরু করলেন ফোনালাপ, কবে যে ভুলে গেছেন আপনি কারো স্বামী অথবা কারো স্ত্রী কিংবা কারো ভাই অথবা কারো বোন । যখন ভুল ভাঙলো তখন দেখলেন অনেক দেরি করে ফেলেছেন, প্রিয়জন চলে গেছে বহু দূরে, হয়তো ভেঙ্গে ফেলেছেন অন্য কারো স্বপ্ন অথবা হয়েছেন প্রতারনার শিকার কিংবা ব্ল্যাকমেইলিং-এর শিকার । এখানেও কি আপনি "পরিস্থিতির শিকার" ? Shame! Shame! Shame!

একসময় শুরু হয় অপমানবোধ, হতাশা, একাকীত্ব, নিজের ওপর থেকে এবং অন্যের প্রতি বিশ্বাস হারানো, সবশেষে নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেওয়া, হয়তোবা একসময় এসবকিছু আর সইতে না পেরে আত্মহত্যা ।

কোনো মানুশের বিশেষ করে কোনো নারীর জীবনে এই ঠেকাগুলো যদি আসে তখন দেখবেন সে হয়ে গেছে আপাদমস্তক পরহেজগার ! যে কিনা পর্দা করার কাপড় পেতো না, সে-ই পরা শুরু করেছে নিকাবসহ বোরখা । কিন্তু মানুশের কটুকথা পিছু ছাড়ে না, এদের পুর্ব-জীবনের কর্মের কারনেই পর্দার পোষাককে কখনো হতে হয় উপহাসের পাত্র । Shame! Shame! Shame!
যেই মানুশটি ঠেকে শিখলো আর যে অনুধাবন করে শিখলো তারা কি কখনো এক হতে পারে ? Never!
অপমান থেকে বাচার জন্যে নয় বরং সত্যিই যদি এরা শিক্ষা গ্রহন করে ফিরে এসে থাকেন তাহলে তাদের প্রতি বিবেকবানদের সকলের উচিত এই প্রার্থনা করা- সৃস্টিকর্তা যেনো তাদের পুর্বের অপরাধ ক্ষমা করেন আর সব ভালো কাজের উত্তম বিনিময় দান করেন । তাদের প্রতি আমাদের সহানুভুতিশীল হওয়া উচিত । Ameen.

প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রতিঃ জীবন মানুশকে বারবার সুযোগ দেয় না; ভবিশ্যতের ব্যাপারে সতর্ক হোন । বাইরের পর্দাই পর্দা নয়, ভেতরেরটাও সমান গুরুত্বপুর্ন । একটা ছাড়া অন্যটা অর্থহিন । বাইরের পর্দা সমাজের বহু শ্রেনির মানুশ করে ।

জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে আমরা যেসব পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তার প্রায় সবই আমাদের জন্যে প্রাথমিক ভাগ্য অথবা শয়তানের প্ররোচনা । প্রাথমিক ভাগ্য এবং শয়তানের প্ররোচনা আমাদের জন্যে গুরুত্বপুর্ন পরীক্ষা । শয়তানের প্ররোচনায় এবং প্রাথমিক ভাগ্য আনুযায়ি আমরা কি করবো তা সম্পুর্ন আমাদের ওপর নির্ভরশিল । এটি সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অংশ । এ অংশের ওপরই নির্ভর করে চুড়ান্ত ভাগ্যের অধিকাংশ ফলাফল ।

শুধুমাত্র মুসলিমদের প্রতি
পরিস্থিতির ইচ্ছা অনুযায়ী কোনো কিছু ঘটার কথা বলা ইসলাম-পরিপন্থী । সুতরাং যেখানে পরিস্থিতির নিজের কোনো ইচ্ছাই নেই, পরিস্থিতি নিজে থেকে কিছু ঘটানোর ক্ষমতাই রাখে না সেখানে আপনি "পরিস্থতির শিকার" হন কিভাবে ? সুতরাং এরকম কিছু বলা ইসলাম-পরিপন্থী ।

পরিশেষে,
কাউকে কস্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য এটি লেখা নয় । বরং যারা ভুল পথে চলছেন এবং যারা এখনও যাননি তাদের উভয়ের জন্যেই সিরত-আল মুসতাকিম দেখানোর জন্যে । সম্মান একবার হারালে তা তো আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবেনা । ভুল একবার করে ফেললে ঠিক ওই ভুলটাকেই শুধরানো তো আর সারা জীবনেও সম্ভব হবে না । সর্বোচ্চ যা সম্ভব তা হলো সতর্ক থাকা এবং পরবর্তিতে ওই ভুল আর না করা । আপনি কি চান একবারের জন্যেও নিজের সম্মান হারিয়ে সুপথে ফিরতে । অথচ ফিরে আসার পরও সারাজীবন অন্যের করুনার পাত্র হয়ে থাকতে হবে আপনাকে । কোনো মানুশ কি চাইতে পারে এ জীবন ? যদি আপনি মানুশ হয়ে থাকেন, তাহলে কি আপনি নিজের, নিজের কোনো ভাইয়ের অথবা কোনো বোনের এরকম করুনার জীবন চাইতে পারেন ?

Fate and Destiny

প্রথমেই আপনাকে একটা প্রশ্ন করি- আচ্ছা, আপনি কি আগে থেকে জানতেন যে আজ এই সময়ে এই লেখাটি আপনি পড়বেন ? আশা করা যায়, আপনি জানতেন না । ধরে নেওয়া যায়, অনেকগুলো লেখার মধ্য থেকে এই লেখাটি আপনার নজরে পড়লো এবং লেখাটি আপনার পড়তে ইচ্ছা হলো । এখন আপনি পড়া চালিয়ে যাবেন নাকি অন্য কিছু করবেন তা সম্পুর্নভাবে আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল । যদি এটা পড়া শেষ করতে পারেন তাহলে আপনার মনে কি প্রতিক্রিয়া হবে বা কি পরিবর্তন হবে তা আপনি এখনও জানেন না ।
লক্ষ্য করুন- আজকে এই সময়ে এই লেখাটি আপনার নজরে পড়াটি ছিলো আপনার সাধারন ভাগ্য বা প্রাথমিক ভাগ্য। পড়াটি চালিয়ে যাওয়া অথবা না যাওয়া ছিলো আপনার ইচ্ছাধীন । পড়াটি শেষ করার পর আপনার কি প্রতিক্রিয়া বা পরিবর্তন হলো এটা আপনার চুড়ান্ত ভাগ্য ।

একইভাবে একজন মানুশ একটি মুশরিকের পরিবারে জন্মগ্রহন করলো; তার বিবেক দিয়ে সে বুঝলো স্রস্টা একজন । এখন মানুশ হিসাবে সে স্বাধীন- সে এই মুশরিকদের সাথে থাকবে নাকি এক স্রস্টার দিকে ফিরে যাবে ।
এখানে, মুশরিকের পরিবারে জন্মগ্রহন করাটা ছিলো ব্যাক্তিটির সাধারন ভাগ্য বা প্রাথমিক ভাগ্য ।

ধরুন, আপনি বাসে কোথাও যাচ্ছেন । হঠাত আপনার ইচ্ছা হলো বাস থেকে নামতে । একটি বাস-স্ট্যান্ডে নেমে আপনি সামনের মেঠো পথ ধরে হাটছেন । একসময় দেখলেন যে, পথটি দুই দিকে বিভক্ত হয়ে চলে গেছে । এখন আপনি কোন পথটি বেছে নিবেন তা আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে । ওই পথটি ধরেই হেটে যাবেন নাকি ফিরে এসে অন্য পথটিতে যাবেন অথবা আবার বাস-স্ট্যান্ডে ফিরে যাবেন তা সম্পুর্নভাবে আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল । ধরুন, আপনি বাস-স্ট্যান্ডে ফিরে এলেন এবং বাসে করে বাড়ি ফিরে এলেন । পরে এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারলেন- আপনি যে সময় মেঠো পথটি ধরে হাটছিলেন, তার কিছুক্ষন পর দু'দিকে চলে যাওয়া পথদু'টির একটিতে ডাকাতি হয়েছে, আর অপর পথটি ধরে কিছু দূরে যেতেই নাকি আপনার এই বন্ধুটির বাড়ি !
ভালভাবে লক্ষ্য করুন- আপনার সামনে দুইটি পথ ছিলো । কোন পথটি বেছে নিতেন তার সম্পুর্ন এখতিয়ার আপনার ছিলো । আপনি যদি আপনার বন্ধুর বাড়ির পথটি বেছে নিতেন তাহলে হয়তো আপনার ভাগ্যে ভালো আপ্যায়ন থাকতো আর যদি ওই পথটি বেছে নিতেন যে পথে ডাকাতি হয়েছে তাহলে হয়তো ডাকাতির কবলে পড়া আপনার ভাগ্যে থাকতো ।

সুতরাং , একজন মানুশ কোন সময় কোন অবস্থার সম্মুখীন হবে তা সে আগে থেকে জানে না । এটি হচ্ছে একজনের সাধারন ভাগ্য বা প্রাথমিক ভাগ্য। কিন্তু একটি অবস্থার সম্মুখীন হয়ে সে কি করবে সেটার ব্যাপারে সে স্বাধীন ; আর এ অবস্থায় সে যা করছে তার ওপরেই তার ভাগ্যের অনেকটা নির্ভরশীল, তবে সম্পুর্নটা নয় । চুড়ান্ত ফলাফল অবশ্যই আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল ।

আর এক প্রকার ভাগ্য আছে যা কোনোভাবেই মানুশের ইচ্ছাধীন নয় । এটা কর্মফল, পরীক্ষা অথবা আগাম বিনিময় হিসাবে মানুশের ওপর পতিতো হয় । ভীতি, রোগ-শোক, খাদ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি, সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধি, প্রান-বিয়োগ ইত্যাদির মাধ্যমে স্রস্টা এগুলো করে থাকেন ।
ধরুন, আপনি একটা ব্যাবসা শুরু করতে যাচ্ছেন । ব্যাবসাটি লাভজনক হওয়ার সব শর্ত আপনি পুরন করলেন । তারপরও আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন ।
উদাহরন হিসাবে, মনে করুন, আপনি গরুর খামার করেছেন । সবকিছু ঠিকমতো চলছিলো । একদিন প্রচন্ড এক বজ্রপাতে খামারের সবগুলো গরু মারা গেলো, কিংবা অজানা কোনো রোগে খামারের সবগুলো গরু মারা গেলো ।
আবার ধরুন, আপনি একটা ক্রিকেট ম্যাচ খেলছেন । জয়ের জন্যে আপনাদের প্রয়োজন ৬ বলে ২ রান, হাতে আছে ৩ উইকেট । খেলার এই যখন অবস্থা, ম্যাচটি তখন নিজেদের মনে করতেই পারেন । কিন্তু দেখা গেলো বিপক্ষ দলের বোলারটি তার প্রথম ৩ বল থেকে হ্যাটট্রিক পেয়ে গেলেন ।
একইভাবে, একজন ব্যক্তি খুব সাবধানে রাস্তা থেকে নেমে হাটছিলেন যাতে কোনো দুর্ঘটনায় পড়তে না হয় । অথচ একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তা থেকে বাইরে এসে তাকেই আঘাত করলো ।

এই দুই প্রকার ভাগ্যের উদ্দেশ্য একই- তা হচ্ছে, পরীক্ষা । পার্থক্য হচ্ছে- এক প্রকার ভাগ্যে আপনাকে কর্ম দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষা করতে হয় আর অপরটিতে আপনার ওপর পতিতো ফলাফলের প্রতি যথাযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখাতে হয় । আমরা যে সৃস্টির সেরা তা আমাদেরকে এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমেই প্রমান করতে হবে ।

আমাদের মনে রাখা উচিত
- স্রস্টার মানুশ সৃস্টির উদ্দেশ্য এই যে, সৃস্টি হিসাবে সে সবসময় এবং সবক্ষেত্রে স্রস্টার প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো ঠিকভাবে পালন করছেন কিনা তা পরীক্ষা করা ।
- মানুশের জন্যেই পৃথিবির বাকি সবকিছু সৃস্টি করা হয়েছে । মানুশ যে সৃস্টির সেরা তা প্রমান করাটা হচ্ছে প্রতিটি মানুশের সারা জীবনের দায়বদ্ধতা ।
- জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে আমরা যেসব পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তার প্রায় সবই আমাদের জন্যে প্রাথমিক ভাগ্য অথবা শয়তানের প্ররোচনা ।
- প্রাথমিক ভাগ্য এবং শয়তানের প্ররোচনা আমাদের জন্যে গুরুত্বপুর্ন পরীক্ষা ।
- শয়তানের প্ররোচনায় এবং প্রাথমিক ভাগ্য আনুযায়ি আমরা কি করবো তা সম্পুর্ন আমাদের ওপর নির্ভরশীল । এটি সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অংশ । এ অংশের ওপরই নির্ভর করে চুড়ান্ত ভাগ্যের অধিকাংশ ফলাফল ।
- সকল কাজের চুড়ান্ত ফলাফলই চুড়ান্ত ভাগ্য ।
- সকল কাজের চুড়ান্ত ফলাফল আল্লাহর ওপরই নির্ভরশীল ।
- প্রতিটি মানুশের ভাগ্য লিখিতো আছে । তবে মানুশ চাইলে নিজের কর্মের মাধ্যমে তার অধিকাংশই পরিবর্তন করতে পারে ।
- শয়তানের প্ররোচনাকেও প্রাথমিক ভাগ্য হিসাবে মনে করা উচিত । তাহলে স্রস্টা যে উদ্দেশ্য আপনাকে সৃস্টি করেছেন তা বস্তবায়ন করা এবং জীবনের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি আপনার জন্যে সহজ হবে ইনশাল্লাহ ।
- সবক্ষেত্রে নিজের মনের নিয়ন্ত্রক হওয়ার চেস্টা করা, মনকে নিজের নিয়ন্ত্রক হতে না দেওয়া ।

Tuesday, April 12, 2011

The Belief Of Kafirs In Allah


কুরআনে বর্নিত নিচের আয়াতগুলো থেকে প্রমান পাওয়া যায়- যুগ যুগ ধরে কাফিররা আল্লাহকে বিশ্বাস করে আসছে ।

সুরা আনকাবুত ২৯.৬১
যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করো পৃথিবী ও আকাশসমূহ কে সৃষ্টি করেছেন এবং চন্দ্র ও সূর্যকে কে নিয়ন্ত্রিত করে রেখেছেন তাহলে অবশ্যই তারা বলবে আল্লাহ, এরপর এরা প্রতারিত হচ্ছে কোন দিক থেকে?

সুরা আনকাবুত ২৯.৬৩
আর যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, কে আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন এবং তার সাহায্যে মৃত পতিত ভূমিকে সঞ্জীবিত করেছেন, তাহলে তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ ৷বলো, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, কিন্তু অধিকাংশ লোক বোঝে না ৷

সুরা আয-যুখরুফ ৪৩.
তোমরা যদি এসব লোকদের জিজ্ঞেস করো, যমীন ও আসমান কে সৃস্টি করেছে, তাহলে এরা নিজেরাই বলবে, ঐগুলো সেই মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী সত্তা সৃষ্টি করেছেন ৷

সুরা আয-যুখরুফ ৪৩.৮৭
ঐদিন তোমরা এদের জিজ্ঞেস করো, কে এদের সৃষ্টি করেছে তাহলে এরা নিজেরাই বলবে, আল্লাহ ৷

সুরা ইউনুস ১০.৩১
তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আকাশ ও পৃথিবী থেকে রিযিক দেয় ? এই শুনার ও দেখার শক্তি কার কর্তৃত্বে আছে ? কে প্রাণহীন থেকে সজীবকে এবং সজীব থেকে প্রাণহীনকে বের করে ? কে চালাচ্ছে এই বিশ্ব ব্যবস্থাপনা” ? তারা নিশ্চয়ই বলবে, আল্লাহ ৷ বলো, তবুও কি তোমরা (সত্যের বিরোধী পথে চলার ব্যাপারে) সতর্ক হচ্ছো না ?

সুরা আল-মুমিনুন ২৩.৮৪-৮৯
(হে রসুল (সঃ), আপনি এদেরকে) বলুন, পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, তা কার ?
তারা বলবেঃ সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা করবে না ?
বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে ?
তারা বলবেঃ আল্লাহ। বলুন, তবুও কি তোমরা ভয় করবে না ?
বলুনঃ তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব বস্তুর কতৃর্ত্ত, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না ?
তারা বলবেঃ আল্লাহর।

সুরা মায়িদা ৫.১৮
ইহুদী ও খৃস্টানরা বলে, আমরা আল্লাহর সন্তান এবং তাঁর প্রিয়পাত্র৷ তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, তাহলে তোমাদের গোনাহের জন্য তিনি তোমাদের শাস্তি দেন কেন ? আসলে তোমরাও ঠিক তেমনি মানুষ যেমন আল্লাহ অন্যান্য মানুষ সৃষ্টি করেছেন ৷ তিনি যাকে চান মাফ করে দেন এবং যাকে চান শাস্তি দেন ৷ পৃথিবী ও আকাশসমূহ এবং এ দুয়ের মধ্যকার যাবতীয় সৃষ্টি আল্লাহর মালিকানাধীন এবং তাঁরই দিকে সবাইকে যেতে হবে ৷

সুরা আরাফ ৭.১২৭
ফেরাউনকে তার জাতির প্রধানরা বললোঃ “তুমি কি মূসা ও তার জাতিকে এমনিই ছেড়ে দেবে যে, তারা ত দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়াক এবং তোমার ও তোমার মাবুদের বন্দেগী পরিত্যাগ করুক ?"  ফেরাউন জবাব দিলঃ “আমি তাদের পুত্রদের হত্যা করবো এবং তাদের কন্যাদের জীবিত রাখবো ৷আমরা তাদের ওপর প্রবল কর্তৃত্বের অধিকারী ৷"

সুরা আল-আনফাল ৮.৪৮
সেই সময়ের কথা একটু মনে করো যখন শয়তান এদের কার্যকলাপ ওদের চোখে ঔজ্জ্বল্যময় করে দেখিয়েছিল এবং এদেরকে বলেছিল, আজ তোমাদের ওপর কেউ বিজয়ী হতে পারে না এবং আমি তোমাদের সাথে আছি ৷ কিন্তু যখন উভয় বাহিনীর সামানাসামনি মোকাবিলা শুরু হলো তখনই সে পিছনের দিকে ফিরে গেলো এবং বলতে লাগলোঃ তোমাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ আমি এমন কিছু দেখছি যা তোমরা দেখো না ৷ আমি আল্লাহকে ভয় পাচ্ছি ৷ আল্লাহ বড় কঠোর শাস্তিদাতা ৷

সুরা আল-হাশর ৫৯.১৬
তারা শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলেঃ তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করি।

মক্কার কাফিররা আল্লাহকে বিশ্বাস করতোঃ
মক্কার কাফিররা যদি আল্লাহকে বিশ্বাস না-ই করতো তাহলে মুহাম্মাদ (সঃ)-এর পিতার নাম আবদুল্লাহ ছিলো কিভাবে ?

কাবা ঘরকে কি তারা আল্লাহর ঘর বলেই মানতো না ?
আল্লাহর ঘরের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হবেএই ভয়ে কাবাঘর সংস্কারের কাজে মক্কাবাসি হারাম পথে উপার্জিত অর্থ ব্যায় করেনিবরং এক অংশ বাদ রেখেছিলো ।
যখন আবরাহা কাবা ভাংতে এসেছিলো তখন তার সাথে বৈঠকে কাবার মুতাওয়াল্লি আব্দুল মুত্তালিব আবহারার বাহিনীর কাছে আটক থাকা উ্ট, বকরি, ভেড়ার ব্যাপারে কথা বলা শুরু করলে আবরাহা বলেছিলো - "আপনি কেমন নেতা ! আমি এসেছি মক্কার গৌরব আর কুরাইশদের দায়িত্বে অর্পিতো কাবা ভাংতে অথচ সেই কুরাইশদের নেতা হয়ে আপনি কাবার ব্যাপারে কথা না বলে কথা বলছেন এই সব নিয়ে ?"
তখন আব্দুল মুত্তালিব হুংকার ছেড়ে বলেছিলো, "ও আবরাহা শুনে রাখো- নেতা হিসাবে এগুলোর দায়-দায়িত্ব আমার ওপর, তাই আমি এগুলোর ব্যাপারে কথা বলছি; আর ওই কাবার কথা বলছো ? ওই কাবার মালিক আমি নই; ওই কাবার মালিক সয়ং আল্লাহ । তিনিই তার কাবা হিফাজাত করবেন; তোমার যদি ক্ষমতা থাকে ওই কাবা ভাঙ্গার তাহলে চেস্টা করে দেখো।"

বদরের যুদ্ধের আগের রাতে আবু সুফিয়ান দুয়া করেছিলো- "আগামি-কালের যুদ্ধে যেই দলটিকে তুমি হক মনে করো তাদেরকে বিজয়ি কোরো ।" ওই দুয়া কার কাছে ছিলো ?

মক্কার কাফিররা সরাসরি মুর্তির পুজা করতো না; বরং তারা মুর্তিগুলোকে তাদের চাওয়াগুলো, প্রশংসাগুলো ও কুরবানিগুলোকে আল্লাহর কাছে পৌছানোর মাধ্যম মনে করতো ।
তারা তাদের অন্যায়ের প্রাচুর্য্যতার কারনে মনে করতো আল্লাহ তাদের ক্ষমা সরাসরি গ্রহন করবেন না । তাই তারা এসব মাধ্যমের সাহায্য নিতো ।

Monday, April 11, 2011

The Tafsir of Surat Al-Asr



The Tafsir of Surat Al-Asr
(Chapter - 103)
Revealed in Makkah

How `Amr bin Al-`As was aware of the Qur'an's Miracle due to this Surah

They have mentioned that `Amr bin Al-`As went to visit Musaylimah Al-Kadhdhab after the Messenger of Allah was commissioned (as a Prophet) and before `Amr had accepted Islam. Upon his arrival, Musaylimah said to him, "What has been revealed to your friend (Muhammad) during this time'' `Amr said, "A short and concise Surah has been revealed to him.'' Musaylimah then said, "What is it'' `Amr replied; (By Al-`Asr. Verily, man is in loss. Except those who believe and do righteous deeds, and recommend one another to the truth, and recommend one another to patience.) So Musaylimah thought for a while. Then he said, "Indeed something similar has also been revealed to me.'' `Amr asked him, "What is it'' He replied, "O Wabr (a small, furry mammal; hyrax), O Wabr! You are only two ears and a chest, and the rest of you is digging and burrowing.'' Then he said, "What do you think, O `Amr'' So `Amr said to him, "By Allah! Verily, you know that I know you are lying.''[1]

I saw that Abu Bakr Al-Khara'iti mentioned a chain of narration for part of this story, or what was close to its meaning, in volume two of his famous book Masawi' ul-Akhlaq. The Wabr is a small animal that resembles a cat, and the largest thing on it is its ears and its torso, while the rest of it is ugly. Musayli- mah intended by the composition of these nonsensical verses to produce something which would oppose the Qur'an. Yet, it was not even convin- cing to the idol wor- shipper of that time.

At-Tabarani recorded from `Abdullah bin Hisn Abi Madinah that he said, "Whenever two men from the Companions of the Messenger of Allah used to meet, they would not part until one of them had recited Surat Al-`Asr in its entirety to the other, and one of them had given the greetings of peace to the other.''[2]
Ash-Shafi`i said, "If the people were to ponder on this Surah, it would be sufficient for them.''

In the Name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful.
(1. By Al-`Asr.)
(2. Verily, man is in loss.)
(3. Except those who believe and do righteous deeds, and recommend one another to the truth, and recommend one another to patience.)

Al-`Asr is the time in which the movements of the Children of Adam occur, whether good or evil. Malik narrated from Zayd bin Aslam that he said, "It is the evening.'' However, the first view is the popular opinion. Thus, Allah swears by this, that man is in Khusr, which means in loss and destruction.

(Except those who believe and do righteous good deeds)
So Allah makes an exception, among the species of man being in loss, for those who believe in their hearts and work righteous deeds with their limbs.

(And recommend one another to the truth,) This is to perform acts of obedience and avoid the forbidden things.

(And recommend one another to patience.)
meaning, with the plots, the evils, and the harms of those who harm people due to their commanding them to do good and forbidding them from evil.
This is the end of the Tafsir of Surat Al-`Asr, and all praise and thanks are due to Allah.

Ref [1]: He also mentioned it in Al-Bidayah wan-Nihayah 6:320, and Al-Hafiz mentioned similar to it in Al-Isabah 3:225.
Ref [2]: Al-Mu’jam Al-wsat no. 5097, Majma’ Al-Bahrayn.

Ref: "Important Guidelines About the Authenticity of the Reports and Quotations in the Tafsir of Ibn Kathir"

AL-WAQYAH (THE EVENT)

AL-WAQYAH (THE EVENT, THE INEVITABLE)

Total Verses: 96
Revealed At: MAKKA

When the great event comes to pass,
There is no belying its coming to pass--
Abasing (one party), exalting (the other),
When the earth shall be shaken with a (severe) shaking,
And the mountains shall be made to crumble with (an awful) crumbling,
So that they shall be as scattered dust.
And you shall be three sorts.
Then (as to) the companions of the right hand; how happy are the companions of the right hand!
And (as to) the companions of the left hand; how wretched are the companions of the left hand!

-Al-Waqyah 56.01-09