Tuesday, April 12, 2011

The Belief Of Kafirs In Allah


কুরআনে বর্নিত নিচের আয়াতগুলো থেকে প্রমান পাওয়া যায়- যুগ যুগ ধরে কাফিররা আল্লাহকে বিশ্বাস করে আসছে ।

সুরা আনকাবুত ২৯.৬১
যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করো পৃথিবী ও আকাশসমূহ কে সৃষ্টি করেছেন এবং চন্দ্র ও সূর্যকে কে নিয়ন্ত্রিত করে রেখেছেন তাহলে অবশ্যই তারা বলবে আল্লাহ, এরপর এরা প্রতারিত হচ্ছে কোন দিক থেকে?

সুরা আনকাবুত ২৯.৬৩
আর যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, কে আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন এবং তার সাহায্যে মৃত পতিত ভূমিকে সঞ্জীবিত করেছেন, তাহলে তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ ৷বলো, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, কিন্তু অধিকাংশ লোক বোঝে না ৷

সুরা আয-যুখরুফ ৪৩.
তোমরা যদি এসব লোকদের জিজ্ঞেস করো, যমীন ও আসমান কে সৃস্টি করেছে, তাহলে এরা নিজেরাই বলবে, ঐগুলো সেই মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী সত্তা সৃষ্টি করেছেন ৷

সুরা আয-যুখরুফ ৪৩.৮৭
ঐদিন তোমরা এদের জিজ্ঞেস করো, কে এদের সৃষ্টি করেছে তাহলে এরা নিজেরাই বলবে, আল্লাহ ৷

সুরা ইউনুস ১০.৩১
তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আকাশ ও পৃথিবী থেকে রিযিক দেয় ? এই শুনার ও দেখার শক্তি কার কর্তৃত্বে আছে ? কে প্রাণহীন থেকে সজীবকে এবং সজীব থেকে প্রাণহীনকে বের করে ? কে চালাচ্ছে এই বিশ্ব ব্যবস্থাপনা” ? তারা নিশ্চয়ই বলবে, আল্লাহ ৷ বলো, তবুও কি তোমরা (সত্যের বিরোধী পথে চলার ব্যাপারে) সতর্ক হচ্ছো না ?

সুরা আল-মুমিনুন ২৩.৮৪-৮৯
(হে রসুল (সঃ), আপনি এদেরকে) বলুন, পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, তা কার ?
তারা বলবেঃ সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা করবে না ?
বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে ?
তারা বলবেঃ আল্লাহ। বলুন, তবুও কি তোমরা ভয় করবে না ?
বলুনঃ তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব বস্তুর কতৃর্ত্ত, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না ?
তারা বলবেঃ আল্লাহর।

সুরা মায়িদা ৫.১৮
ইহুদী ও খৃস্টানরা বলে, আমরা আল্লাহর সন্তান এবং তাঁর প্রিয়পাত্র৷ তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, তাহলে তোমাদের গোনাহের জন্য তিনি তোমাদের শাস্তি দেন কেন ? আসলে তোমরাও ঠিক তেমনি মানুষ যেমন আল্লাহ অন্যান্য মানুষ সৃষ্টি করেছেন ৷ তিনি যাকে চান মাফ করে দেন এবং যাকে চান শাস্তি দেন ৷ পৃথিবী ও আকাশসমূহ এবং এ দুয়ের মধ্যকার যাবতীয় সৃষ্টি আল্লাহর মালিকানাধীন এবং তাঁরই দিকে সবাইকে যেতে হবে ৷

সুরা আরাফ ৭.১২৭
ফেরাউনকে তার জাতির প্রধানরা বললোঃ “তুমি কি মূসা ও তার জাতিকে এমনিই ছেড়ে দেবে যে, তারা ত দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়াক এবং তোমার ও তোমার মাবুদের বন্দেগী পরিত্যাগ করুক ?"  ফেরাউন জবাব দিলঃ “আমি তাদের পুত্রদের হত্যা করবো এবং তাদের কন্যাদের জীবিত রাখবো ৷আমরা তাদের ওপর প্রবল কর্তৃত্বের অধিকারী ৷"

সুরা আল-আনফাল ৮.৪৮
সেই সময়ের কথা একটু মনে করো যখন শয়তান এদের কার্যকলাপ ওদের চোখে ঔজ্জ্বল্যময় করে দেখিয়েছিল এবং এদেরকে বলেছিল, আজ তোমাদের ওপর কেউ বিজয়ী হতে পারে না এবং আমি তোমাদের সাথে আছি ৷ কিন্তু যখন উভয় বাহিনীর সামানাসামনি মোকাবিলা শুরু হলো তখনই সে পিছনের দিকে ফিরে গেলো এবং বলতে লাগলোঃ তোমাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ আমি এমন কিছু দেখছি যা তোমরা দেখো না ৷ আমি আল্লাহকে ভয় পাচ্ছি ৷ আল্লাহ বড় কঠোর শাস্তিদাতা ৷

সুরা আল-হাশর ৫৯.১৬
তারা শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলেঃ তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করি।

মক্কার কাফিররা আল্লাহকে বিশ্বাস করতোঃ
মক্কার কাফিররা যদি আল্লাহকে বিশ্বাস না-ই করতো তাহলে মুহাম্মাদ (সঃ)-এর পিতার নাম আবদুল্লাহ ছিলো কিভাবে ?

কাবা ঘরকে কি তারা আল্লাহর ঘর বলেই মানতো না ?
আল্লাহর ঘরের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হবেএই ভয়ে কাবাঘর সংস্কারের কাজে মক্কাবাসি হারাম পথে উপার্জিত অর্থ ব্যায় করেনিবরং এক অংশ বাদ রেখেছিলো ।
যখন আবরাহা কাবা ভাংতে এসেছিলো তখন তার সাথে বৈঠকে কাবার মুতাওয়াল্লি আব্দুল মুত্তালিব আবহারার বাহিনীর কাছে আটক থাকা উ্ট, বকরি, ভেড়ার ব্যাপারে কথা বলা শুরু করলে আবরাহা বলেছিলো - "আপনি কেমন নেতা ! আমি এসেছি মক্কার গৌরব আর কুরাইশদের দায়িত্বে অর্পিতো কাবা ভাংতে অথচ সেই কুরাইশদের নেতা হয়ে আপনি কাবার ব্যাপারে কথা না বলে কথা বলছেন এই সব নিয়ে ?"
তখন আব্দুল মুত্তালিব হুংকার ছেড়ে বলেছিলো, "ও আবরাহা শুনে রাখো- নেতা হিসাবে এগুলোর দায়-দায়িত্ব আমার ওপর, তাই আমি এগুলোর ব্যাপারে কথা বলছি; আর ওই কাবার কথা বলছো ? ওই কাবার মালিক আমি নই; ওই কাবার মালিক সয়ং আল্লাহ । তিনিই তার কাবা হিফাজাত করবেন; তোমার যদি ক্ষমতা থাকে ওই কাবা ভাঙ্গার তাহলে চেস্টা করে দেখো।"

বদরের যুদ্ধের আগের রাতে আবু সুফিয়ান দুয়া করেছিলো- "আগামি-কালের যুদ্ধে যেই দলটিকে তুমি হক মনে করো তাদেরকে বিজয়ি কোরো ।" ওই দুয়া কার কাছে ছিলো ?

মক্কার কাফিররা সরাসরি মুর্তির পুজা করতো না; বরং তারা মুর্তিগুলোকে তাদের চাওয়াগুলো, প্রশংসাগুলো ও কুরবানিগুলোকে আল্লাহর কাছে পৌছানোর মাধ্যম মনে করতো ।
তারা তাদের অন্যায়ের প্রাচুর্য্যতার কারনে মনে করতো আল্লাহ তাদের ক্ষমা সরাসরি গ্রহন করবেন না । তাই তারা এসব মাধ্যমের সাহায্য নিতো ।

No comments:

Post a Comment